শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন ২০২৩

শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন ২০২৩

শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন ২০২৩


এখানে আমরা যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা - ntrca কিভাবে আবেদন করতে হয়?, শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন লিংক, শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন ২০২৩, শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন ফর্ম১৮ তম নিবন্ধন পরীক্ষার সার্কলার, ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা, ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন , NTRCA apply , NTRC Result , এনটিআরসিএ নোটিশ

সাধারণত আলোচনা-

  •  শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ক্যাটাগরি ৩টি : কলেজ পর্যায়, স্কুল পর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২।
  • কলেজ পর্যায়ের জন্য অনার্স লাগে; অথবা ডিগ্রি + মাস্টার্স সমমানের ফাজেল ও কামিল। বেতন গ্রেড- ৯ম। বেসিক ২২,০০০ টাকা,শুরুতে। 
  • স্কুল পর্যায় মানে সহকারী শিক্ষক বা এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। এই পদে ডিগ্রি বা ফাজেল পাশ হলেই চলে। অথবা অনার্স হলেও চলবে। তবে, কিছু সাবজেক্টে ৩ বছর বা ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা হলেও চলে। আবার কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে যেকোনো বিষয়ে অনার্স বা ডিগ্রি করার পর ১ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা করলেও আবেদন করতে পারবেন যে বিষয়ে ডিপ্লোমা করেছেন সেই বিষয়ে। যেমন- আইসিটি, কৃষি শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে। বেতন গ্রেড ১০ম অথবা ১১তম যাদের বিএড ডিগ্রি আছে তারা ১০ গ্রেডে বেতন পাবেন। অর্থাৎ বেসিক ১৬,০০০ টাকা। যাদের বিএড নেই তারা ১১তম গ্রেডে বেতন পাবেন। অর্থাৎ বেসিক ১২,৫০০ টাকা।
  • স্কুল পর্যায়-২: জুনিয়র শিক্ষক (বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে), বা জুনিয়র মোলভী, জুনিয়র ক্বারী এবতেদায়ি মাদ্রাসার জন্য। এইচএসসি পাশ করেই এই পদে আবেদন করা যায়। বেতন গ্রেড ১৬তম। অর্থাৎ, চাকরির শুরুতে বেসিক বেতন পাবেন ৯,৩০০ টাকা।
  • শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলির প্রশ্ন প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য একইরকম হয়। অর্থাৎ, কলেজ পর্যায়ের সবার জন্য একই প্রশ্ন, স্কুল পর্যায়ের সবার জন্য একই প্রশ্ন ও স্কুল পর্যায়-২ এর সবার জন্য একই প্রশ্ন। এইক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান ও গণিত ২৫টি করে মোট ১০০ নম্বরের MCQ প্রশ্ন হবে। সময় ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বরের করে পাবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ করে কাটা যাবে প্রাপ্ত নম্বর থেকে। প্রিলিতে পাশ হল ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪০%, অর্থাৎ ৪০ নম্বর পেলেই প্রিলি পাশ।
  • প্রিলিতে উত্তীর্ণদের নিয়ে রিটেন হয় ১০০ নম্বরের। লিখিত পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা। এই ক্ষেত্রে যে যে বিষয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল সেই সেই বিষয়ের ওপর ১০০ নম্বরের রিটেন হবে। রিটেনে কর্তৃপক্ষ তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিধি মোতাবেক প্রতিটি বিষয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকেন এবং পরবর্তীতে ভাইভার জন্য কল করবেন।
  • ভাইভা হয় ২০ নম্বরের। এর মধ্যে ১২ নম্বর শিক্ষাজীবনে অর্জিত সনদ তথা সার্টিফিকেটের ওপর। বাকি ৮ নম্বর ভাইভা বোর্ডে পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে। তবে, এই উভয় ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪০% নম্বর পেতে হবে। অর্থাৎ, সার্টিফিকেটসমূহের ১২ নম্বরের মাঝে কমপক্ষে ৪০% এবং ভাইভা বোর্ডের ৮ নম্বরের মাঝে কমপক্ষে ৪০% নম্বরে পেতে হবে।
  • রিটেন ১০০ ও ভাইভার ২০, মোট ১২০ নম্বরের পর জাতীয় মেধা তালিকা প্রণীত হয় সাবজেক্টভিত্তিক আলাদাভাবে। এই ক্ষেত্রে প্রিলির কোনো নম্বর যুক্ত হয় না।
  • জাতীয় মেধা তালিকায় স্থান প্রাপ্ত দের জন্য বা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলি, রিটেন ও ভাইভায় উত্তীর্ণদের জন্য গণ-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে NTRCA কর্তৃপক্ষ।
  • গণ-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর তিন ক্যাটাগরির বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষকেরা নিজেদের কাঙ্ক্ষিত পদের বিপরীতে শূনপদ থাকা সাপেক্ষে এনপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করে। এই ক্ষেত্রে আবেদন এক হাজার টাকা। একজন প্রার্থী সাধারণত ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে আবেদন করতে পারেন।
  • নিজেদের পছন্দের পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় মেধা তালিকা অনুযায়ী ম্যাচ করলে NTRCA থেকে সরাসরি নিয়োগের সুপারিশ করার হয়। এইক্ষেত্রে কোনো তদবির বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির আশীর্বাদের প্রয়োজন হয় না ২০১৫ সাল থেকে।

আবেদনের নিয়ম -/ আবেদনের লিংক-

প্রার্থীরা (আগ্রহী) অনলাইনে ntrca.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে । অনলাইনে হবে । 


প্রিলিমিনারি টেস্টের বিষয় ও নম্বর বণ্টন -

বাংলায় ২৫ নম্বর, ইংরেজিতে ২৫, সাধারণ গণিতে ২৫ ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ নম্বর -। মোট ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি টেস্ট পরীক্ষা হবে। ১০০ নম্বরের প্রতিটি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে প্রতিটি বিষয় কতৃপক্ষ কর্তৃক বিধি মোতাবেক নির্ধারিত সংখ্যক প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হবে-।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url