ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি, অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি

ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি, অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি।

ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি, অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি।

এই অনুচ্ছেদে আলোচনা করা হবে-   ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি, অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি।

গণিতশাস্ত্র

গণিত শাস্ত্রের ইংরেজি প্রতিশব্দ Mathematics (ম্যাথমেটিক্স)। এটি গ্রিক শব্দ Mathema (ম্যাথমা) থেকে এসেছে। যার অর্থ জ্ঞান বা শিক্ষা করা। গণিত কথাটি এসেছে গণনা করা থেকে। এর অর্থ হল ’গণনা বিজ্ঞান’ অর্থাৎ যে বিশেষ জ্ঞান দ্বারা গণনা করা হয়ে থাকে তাকেই গণিত বলা হয়। আর্যদের প্রাচীন  শাস্ত্রগ্রন্থ বেদের বিভিন্ন জায়গায় গণিত কথাটির উল্লেখ পাওয়া যায়।
১৭ শতক পর্যন্ত কেবল পাটিগণিত বীজগণিত ও জ্যামিতিকে গণিত শাস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হতো। এ সময় গণিত দর্শন ও বিজ্ঞানের চেয়ে কোনো পৃথক শাস্ত্র ছিল না। ১৭ শতকে এসে স্যার আইজ্যাক নিউটন ও গটফ্রিড লাইবনিৎসের এর ক্যালকুলাস উদ্ভাবন এবং ১৮ শতকের আগস্ত লুই কোশি ও তার সমসাময়িক গণিতবিদদের উদ্ভাবিত কঠোর গাণিতিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিগুলোর উদ্ভাবন গণিতকে একটি একক এবং সক্রিয় শাস্ত্রের পরিণত করে। 

গণিতের মৌলিক ধারণা

সংখ্যা পদ্ধতি  ( Number System)

যে পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করা হয় বা প্রকাশ করা হয় তাকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এ সকল সংখ্যাকে বিভিন্ন গাণিতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় গণনার কাজ করা হয়।

সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ (Classification of Number System)
সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা পদ্ধতি গুলো কে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
  • ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি ( Decimal Number System)।
  • বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ( Binary Number System)।
  • অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি ( Octal Number System)।
  • হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি  ( Hexadecimal Number System)।

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি ( Decimal Number System)

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি ( Decimal Number System)

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ এবং ৯ এই দশটি প্রতীক দিয়ে সব ধরনের সংখ্যা গঠন করা হয়। দশটি প্রতীক বা অংক ব্যবহার করা হয় বলে এ সংখ্যা পদ্ধতিকে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি দশ। 
উদাহরণঃ
৫৩৬১৭
২৭৩৭১৩
২২৩২১


বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ( Binary Number System)

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ( Binary Number System)

সংখ্যা পদ্ধতিতে মাত্র দুটি চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করে সব ধরনের সংখ্যা গঠন করা হয়। দুটি প্রতীক ব্যবহৃত হয় বলে একে দুই ভিত্তিক সংখ্যা বা বাইনারি পদ্ধতি বলা হয়। এর ভিত্তি হল ২। এ পদ্ধতিতে অংক দুটি হলো ০ (শুন্য) এবং ১ (এক)।
উদাহরণঃ 
()২ একটি বাইনারি সংখ্যা। 


অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি  ( Octal Number System)

অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি  ( Octal Number System)

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে আটটি অংক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক গুলো হলো ০ ( শূন্য), ১ (এক), ২ (দুই), ৩ (তিন), ৪ (চার), ৫ (পাঁচ), ৬ (ছয়), ৭ (সাত)। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ভিত্তি হচ্ছে আট।
উদাহরণঃ
(৭১৪)৮।


হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি  ( Hexadecimal Number System)

হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি  ( Hexadecimal Number System)

যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ১৬ টি অংক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়  তাকে হেক্সা ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক গুলো হলো ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E, F । পদ্ধতির ভিত্তি ১৬। 
উদাহরণঃ
(৭৬A)১৬।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url