অঙ্কপাতন কি? অংক পাতনে কয়টি অংক ব্যবহার করা হয়?
অঙ্কপাতন কি? দেশীয় সংখ্যা পঠন রীতি
একাডেমিক লেভেলের কয়েকটি
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় হলো - অঙ্কপাতন কি? অংক
পাতনে কয়টি অংক ব্যবহার করা হয়? স্থানীয় মান
বলতে কি বুঝ? দেশীয় সংখ্যা পঠন রীতি কাকে
বলে? স্বকীয় মান কাকে বলে? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করা হল।
অঙ্কপাতন কি? বা
অংক পাতন কাকে বলে?
কোন সংখ্যাকে যে সব
অংক বা প্রতীক দ্বারা লেখা হয় সে সব প্রতীক বা অংককে অংক পাতন বলা হয়। অন্যভাবে বলা
যায় , কোন সংখ্যাকে অংক প্রতীক দ্বারা লিখে প্রকাশ করাকে অংক পাতন বলে।
অংক পাতনের উদাহরণঃ
৬৪২৭২ সংখ্যাটিকে ৬,
৪, ২, ৭, ২ সমুহের সমন্বয়ে লেখা হয়েছে।
অঙ্কপাতন এর ইংরেজী- Numeracy
অংক পাতনে কয়টি অংক ব্যবহার করা হয়?
অংক পাতনে মোট দশটি অংক ব্যবহ্নত হয়।
পাটিগণিতে
দশটি প্রতীক দ্বারা সব সংখ্যাই প্রকাশ করা যায়। এ প্রতীকগুলো হলো :
১ ( এক ), ২ ( দুই ), ৩ ( তিন ), ৪ ( চার ), ৫ ( পাচ ), ৬ ( ছয় ), ৭ ( সাত ), ৮ ( আট ), ৯ ( নয় ), ০ ( দশ )।
সার্থক অংক কয়টি?
এদের মধ্যে
প্রথম নয়টি প্রতীককে সার্থক অঙ্ক এবং শেষেরটিকে শূন্য (সংখ্যার অভাবজ্ঞাপক
অঙ্ক) বলা হয়। উপরে উল্লিখিত সংখ্যাগুলোর স্বকীয় বা প্রকৃত মান যথাক্রমে এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয় ও শূন্য।
৯ অপেক্ষা
বড় সব সংখ্যাই দুই বা ততোধিক অঙ্ক পাশাপাশি বসিয়ে লেখা যায়। কোনো সংখ্যা অঙ্ক
দ্বারা লেখাকে অঙ্ক পাতন বলে।
অঙ্কপাতনে
দশটি প্রতীকই ব্যবহ্নত হয়ে থাকে। দশ-ভিত্তিক সংখ্যা প্রকাশের এই রীতি বা নিয়মকে
দশমিক বা দশ-গুণোত্তর রীতি বলা হয়।
স্বকীয় মান
কাকে বলে? বা
স্বকীয় মান
কি?
কোনো
সংখ্যায় ব্যবহৃত অঙ্কগুলোর মান তার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। কোনো সার্থক অঙ্ক আলাদা
ভাবে লিখলে যে সংখ্যা প্রকাশ করে তা অঙ্কের স্বকীয় মান। যেমন, ৫৫ এর সর্বডানে ৫ এর স্বকীয় মান ৫ এবং দ্বিতীয় ৫ এর স্বকীয়
মানও ৫।
স্থানীয় মান কি?
কয়েকটি
অঙ্ক পাশাপাশি লিখলে কোনো সার্থক অঙ্ক তার অবস্থানের জন্য যে সংখ্যা প্রকাশ করে, তাকে ঐ অঙ্কের স্থানীয় মান বলে। যেমন, ৯৯৯ সংখ্যাটির সর্বডানে ৯ এর স্থানীয় মান ৯, ডানদিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ৯ এর স্থানীয় মান
যথাক্রমে ৯০ ও ৯০০।
তাহলে দেখা
যাচ্ছে,
একই অঙ্কের স্থান পরিবর্তনের ফলে স্থানীয় মানের পরিবর্তন
হয়। কিন্তু স্বকীয় মান একই থাকে।
অর্থাৎ ৯৯৯
= ১০০ × ৯ + ১০ × ৯ + ৯
দেশীয় সংখ্যা পঠন রীতিঃ
পাশাপাশি
লিখিত অঙ্কগুলো দ্বারা গঠিত সংখ্যার ডানদিক থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান (ঘর)
যথাক্রমে একক, দশক এবং শতক প্রকাশ করে। চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম স্থানকে
যথাক্রমে হাজার, অযুত, লক্ষ,
নিযুত, কোটি বলা হয়।
এককের ঘরের
অঙ্কগুলো কথায় লেখা বা পড়া হয় এক, দুই, তিন, চার ইত্যাদি।
কিন্তু দুই অঙ্কের সংখ্যা ২৫, ৩৮, ৭১ কে যথাক্রমে দুই দশকপাঁচ, তিন দশক আট, সাত দশক এক পড়া হয় না। এদের বিশেষ
বিশেষ নাম আছে। যেমন, পঁচিশ, আটত্রিশ, একাত্তর।১০ থেকে ৯৯
পর্যন্তদুই অঙ্কের সংখ্যাগুলোকে তাদের বিশেষ নামেই পড়া হয়। শতকের ঘরের ১, ২, ৩ ইত্যাদি
অঙ্কগুলোকে যথাক্রমে একশ, দুইশ, তিনশ ইত্যাদি পড়া হয়।চার বা
ততোধিক অঙ্কে লিখিত সংখ্যা শুদ্ধভাবে পড়ার জন্য কমা (,) ব্যবহার করা হয়। যেকোনো সংখ্যার ডানদিক থেকে তিন অঙ্ক পরে
একটি কমা এবং এরপর দুই অঙ্ক পর পর কমা ব্যবহার করতে হয়।