এইচএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে অনার্স কালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি ২০২৩
এইচএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে অনার্স কালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি ২০২৩
ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি |
ফলাফল অনুসারে
মেধাতালিকায় থাকা প্রথম সারীর শিক্ষার্থীদের বোর্ড স্কলারশিপ অফার করা হয়। বোর্ড
স্কলারশিপে মেধা তালিকা ছাড়া অন্য কোন বিষয় বিবেচনা করা হয় না । কিন্তু ব্যাংক সহ
অন্যান্য সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো মেধা ছাড়াও শিক্ষার্থীদের পূর্বের নম্বর পত্র,
আর্থসামাজিক অবস্থা,
সুবিধা বঞ্চিত কিনা
ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়।
আজকের এই অনুচ্ছেদে আমরা অনার্সকালীন সময়ে ডাচ বাংলা শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ডাচ বাংলা ব্যাংক
১৯৯৭ সাল থেকে দরিদ্র্য অসচ্ছল মেধাব ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি দিয়ে আসছে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রতি বছল মূলত সি এস আর কার্যকারিতার মাধ্যমে একশ দুই কোটি টাকা
শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ষাট হাজার শিক্ষার্থী ডাচ বাংলা
ব্যাংক এর উপবৃত্তির আওতায় এসেছে। এই মূহুর্তে পনের প্রায় হাজার শিক্ষার্থী ডাচ
বাংলা ব্যাংক এর শিক্ষা বৃত্তির কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতি বছর এইচএসসি
ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এবং কিছু অর্থনৈতিক বিষয় বিবেচনা করে অনার্স পড়ুয়া
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক
প্রদত্ত শিক্ষা বৃত্তি ৯০ শতাংশ গ্রামীন সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় অবস্থিত শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য। এই শিক্ষা বৃত্তির ৫০ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থীদের
জন্য বরাদ্দ থাকে।
এইচএসসি ফলাফলের
ভিত্তিতে অনার্স কালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি
মেধা, আর্থসামাজিক অবস্থা ,শিক্ষার্থী সুবিধা বঞ্চিত কিনা ইত্যাদি যাচাই করে একজন শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়া তাকে উপবৃত্তি দেওয়া হবে কিনা তা-
এইচএসসি ফলাফলের
ভিত্তিতে অনার্স কালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি গ্রহনের
শর্তাবলীঃ
এইচএসসি ফলাফলের
ওপন ভিত্তি করে এবং অন্যান্য যোগ্যতা অনুযায়ী অনার্স কালীন সময়ে এই শিক্ষা বৃত্তি
প্রদান করা হয়। ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তৃক অনার্সকালীন সময়ের এই শিক্ষা বৃত্তির জন্য
আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীকে-
- দরিদ্র-অসচ্ছল পরিবারের হতে হবে।
- পরিবারের মাসিক আয় শর্তসাপেক্ষ হতে হবে।
- সরকারী বৃত্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বৃত্তির অন্তভূক্ত থাকলে আবেদন গ্রহন যোগ্য হবে না।
- ডাচ বাংলা শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই সরকারী বা বেসরকারী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কলেজে অধ্যয়নরত থাকতে হবে।
এইচএসসি ফলাফলের
ভিত্তিতে অনার্স কালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি ২০২৩ এর
আবেদনের সময়সীমাঃ
- এইচএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে অনার্স কালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি ২০২৩ এর আবেদন শুরুর সময় এখনও নির্ধারিত হয়নি।
- এইচএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে অনার্স কালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি ২০২৩ এর আবেদনের শেষ তারিখ ঘোষনা হয়নি।
এইচএসসি ফলাফলের
ভিত্তিতে অনার্স কালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি এর
আবেদনের যোগ্যতাঃ
সিটি কর্পোরেশন
এলাকার অন্তর্ভুক্ত কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীদের জন্য সিজিপিএ থাকতে হবে ৪.৫(চতুর্থ বিষয় ব্যতিত)।
সিটি কর্পোরেশন
এলাকার বাইরের কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীদের জন্য সিজিপিএ থাকতে হবে ৪.৫(চতুর্থ বিষয় ব্যতিত)।
এইচএসসি ফলাফলের
ভিত্তিতে অনার্স কালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি এর
পরিমান ও সময়কালঃ
১। স্নাতক (পাস) পর্যায় => ৩ বছর
২। স্নাতক (
সম্মান ) পর্যায়=> ৪ বছর
৩। এমবিবিএস বিডিএস পর্যায় => ৫ বছর
বৃত্তি প্রাপ্ত
শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা । এবং প্রতি বছর শিক্ষা উপকরণ বাবদ ৬০০০ টাকা
প্রদান করা হয়।
এইচএসসি ফলাফলের
ভিত্তিতে অনার্স কালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি এর
আবেদনের নিয়মাবলীঃ
অনার্সকালীন ডাচ
বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি পাওয়ার জন্য
যেভাবে আবেদন করতে হবে-
প্রাথমিকভাবে
আবেদন করার জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক এর সাইটে গিয়ে স্কলারশিপ সেকশনে যেতে হবে।
সেখাবে অনার্সকালীন এইচএসসি ভিত্তিক
শিক্ষাবৃত্তির ফর্ম পাওয়া যাবে। উক্ত ফর্ম পূরন করে জমা দিলে প্রাথমিকভাবে আবেদন
প্রক্রিয়া শেষ হবে।
অনলাইনে আবেদন
করার কিছুদিন পর রেজাল্ট প্রকাশিত হবে। প্রকাশিত ফলাফলে নির্বাচিত দেরকে প্রয়োজনীয়
কাগজ পত্র জমা দিতে তারিখ উল্লেখ করা হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সংশ্লিষ্ট
কাগজ পত্র জমা দেওয়ার কিছুদিন পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত দের ফলাফল প্রকাশিত হবে।
এইচএসসি ফলাফলের
ভিত্তিতে অনার্স কালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক শিক্ষা বৃত্তি এর
প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রঃ
অনলাইনের মাধ্যমে
প্রাথমিকভাবে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র-
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙ্গিন সত্যায়িত ছবি।
- আবেদনকারীর পিতা-মাতার পাসপোর্ট সাইজেররঙ্গিন সত্যায়িত ছবি।
- আবেদনকারীর এসএসসি মার্কসীটের স্ক্যান কপি।
- আবেদনকারীর এইসএসসি মার্কসীটের স্ক্যান কপি।
- আবেদনকারী কোন কোটার অন্তভুক্ত হলে তা উপযুক্ত প্রমান সহ উল্লেখ করতে হবে।
- চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ: পরে সংবাদপত্র এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অবহিত করা হবে।
- সরাসরি কোন আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
অনলাইনের মাধ্যমে
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর চূড়ান্ত আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র-
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙ্গিন সত্যায়িত ছবি।
- আবেদনকারীর এসএসসি মার্কসীটের স্ক্যান কপি।
- আবেদনকারীর এইসএসসি মার্কসীটের স্ক্যান কপি।
- অধ্যয়নরত কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র।
- চেয়ারম্যান/ ইউপি/ পৌরসভা/ ওয়ার্ড কাউন্সিল কর্তৃক অভিভাবকের পেশা উল্লেখ পুর্বক মাসিক আয়র সনদ পত্র।
- মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হলে মুক্তিযোদ্ধা সনদের সত্যায়িত কপি।
- আবেদনকারী প্রতিবন্ধী হলে প্রতিবন্ধী সনদের সত্যায়িত কপি।
- আবেদনকারীর অধ্যয়নরত প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত আইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি।