ট্রানজিস্টর কি? || কিভাবে কাজ করে? || কিভাবে ট্রানজিস্টর সুইচ হিসেবে কাজ করে? || ট্রানজিস্টর আবিষ্কার || ট্রানজিস্টর কত প্রকার ও কি কি? || ট্রানজিস্টর কি দিয়ে তৈরি?

ট্রানজিস্টর কি? || কিভাবে কাজ করে? || কিভাবে ট্রানজিস্টর সুইচ হিসেবে কাজ করে? || ট্রানজিস্টর আবিষ্কার || ট্রানজিস্টর কত প্রকার ও কি কি? || ট্রানজিস্টর কি দিয়ে তৈরি? 


ট্রানজিস্টর কি
ট্রানজিস্টর 

ট্রানজিস্টর

একটি তিন লেয়ার, তিন টার্মিনাল এবং দুই জাংশন বিশিষ্ট সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা ইনপুট সিগনালের শক্তি বৃদ্ধি করে বিভিন্ন কাজ সমাধান করে তাই ট্রানজিস্টর । ট্রানজিস্টর হল একটি সুইচ যা বিদ্যুতের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। 

ট্রানজিস্টর এর আদ্যপান্ত

১ -যখন বিদ্যুৎ থাকে এবং ০ -যখন কারেন্ট থাকে না। বর্তমানে এই প্রক্রিয়ায় সব ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করা হয় পাশাপাশি প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। এসবই সম্ভব হয়েছে সেমিকন্ডাক্টরের মাধ্যমে। .যে বস্তুগুলি খুব ভালভাবে বিদ্যুত প্রেরণ করে না এছাড়াও বিদ্যুতের পরিবাহীর মতো আচরণ করে না তাদের সেমিকন্ডাক্টর বলা হয় যেমন বিশুদ্ধ সিলিকন। যখন সিলিকনে ফসফরাস যোগ করা হয় তখন তাকে N টাইপ বলে। সেমিকন্ডাক্টর বা এন টাইপ ডোপিং আবার যখন বোরন সিলিকনে যোগ করা হয় তখন তাকে বলা হয় এন টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বা এন টাইপ ডোপিং। একটি ট্রানজিস্টর হল একটি সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা ইলেকট্রনিক সিগন্যাল এবং বৈদ্যুতিক শক্তিকে প্রসারিত বা পরিবর্তন করতে ব্যবহৃত হয়। এটি অর্ধপরিবাহী উপাদান দিয়ে গঠিত। সাধারণত একটি বহিরাগত সার্কিটের সাথে সংযোগের জন্য কমপক্ষে তিনটি টার্মিনাল সহ।

ট্রানজিস্টরের টার্মিনাল কন্ট্রোলের এক জোড়ায় ভোল্টেজ বা কারেন্ট প্রয়োগ করা হয় অন্য জোড়া টার্মিনালের মাধ্যমে বর্তমান। যেহেতু নিয়ন্ত্রিত (আউটপুট) শক্তি নিয়ন্ত্রণকারী (ইনপুট) শক্তির চেয়ে বেশি হতে পারেএকটি ট্রানজিস্টর একটি সংকেতকে প্রশস্ত করতে পারে। আজকিছু ট্রানজিস্টর পৃথকভাবে প্যাকেজ করা হয়কিন্তু আরও অনেকগুলি সমন্বিত সার্কিটে এমবেড করা পাওয়া যায়।


ট্রানজিস্টর এর আবিষ্কার

অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান পদার্থবিদ জুলিয়াস এডগার লিলিয়েনফেল্ড 1926 সালে একটি ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরের ধারণা প্রস্তাব করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবে এটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।

সেই সময়ে একটি কাজের ডিভাইস। বেল ল্যাবসে উইলিয়াম শকলির অধীনে কাজ করার সময় আমেরিকান পদার্থবিদ জন বারডিন এবং ওয়াল্টার ব্র্যাটেইন 1947 সালে একটি পয়েন্ট-কন্টাক্ট ট্রানজিস্টর তৈরি করেছিলেন। তিনজন তাদের কৃতিত্বের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে 1956 সালের নোবেল পুরস্কার ভাগ করে নেন। সর্বাধিক ব্যবহৃত ট্রানজিস্টর হল MOSFET (মেটাল-অক্সাইড-সেমিকন্ডাক্টর ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টর), যা MOS ট্রানজিস্টর নামেও পরিচিত

ট্রানজিস্টর এর গঠন

দুইটি এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর অথবা দুইটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর স্থাপন করে ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয়।
দুই শ্রেনীর অর্ধপরিবাহী  যথা- N-টাইপ ও P-টাইপ দিয়ে ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয়। ট্রানসিস্টারে একটি P-টাইপ সাবস্টাক্টের উভয় পার্শ্বে একটি করে N-টাইপ সাবস্টাক্টের  স্থাপন করে N-P-N তৈরি করা হয় বা N-টাইপ সাবস্টাক্টের উভয় দিকে একটি করে P-টাইপ সাবস্টাক্টের  স্থাপন করে P-N-P জংশন তৈরি করা হয়।

গঠন অনুসারে ট্রানজিস্টর দুই প্রকার

  1. পি.এন.পি. ট্রানজিস্টর (P-N-P ট্রানজিস্টর )
  2. এন.পি.এন. ট্রানজিস্টর (N-P-N ট্রানজিস্টর )

ট্রানজিস্টর ইলেকট্রনিক সার্কিট বা বর্তনীতে amplifier(বিবর্ধক) ও switch(সুইচ) হিসেবে ব্যবহহৃত হয়।
ট্রানজিস্টর বানানোর পদ্ধতিকে বলা হয় 'Fabrication'( ফেব্রিকেশন )।
এখানে শুধু NPN ট্রানজিস্টর নিয়ে আলোচনা করব। 

NPN ট্রানজিস্টরের কার্যপ্রণালি

Base এর দিয়ে পাঠানো কারেন্ট  ইমিটার (Emitter) এর মধ্য দিয়ে নির্গত হয়। ট্রানজিস্টর তখন কালেক্টর (Collector) থেকে ইমিটার (Emitter) এর দিকে কারেন্ট টানতে থাকে। অর্থাৎ কালেক্টর থেকে ইমিটারের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত চলতে থাকে। বেস-ইমিটার কারেন্ট (Ib) আসলে কালেক্টর(Collector)-ইমিটার(Emitter) কারেন্টকে (Ic) নিয়ন্ত্রণ করে।
 বিষয়টিকে উদাহরনের সাহায্যে এভাবে বলা যেতে পারে- ট্যাপ না ঘুরালে যেমন পানি বের হয়না, তেমনি বেসের মধ্য দিয়ে কারেন্ট না পাঠালে কালেক্টর থেকে এমিটারের দিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয় না, অনেকটা পানির কল ছাড়ার মত।
এই কালেক্টর-ইমিটার কারেন্ট, বেস-ইমিটার কারেন্টের চাইতে অত্যধিক পরিমান বেশি। 
ট্রানজিস্টরের মডেল ভেদে কালেক্টর-ইমিটার কারেন্ট(IC), বেস-ইমিটার কারেন্টের(IB) চাইতে ৫০-৪০০গুণ বড় হতে পারে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, এর মানে হচ্ছে আপনি Base-এ মাইক্রো- অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট দিয়ে কালেক্টর থেকে মিলি-অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট পেতে পারেন। 
কালেক্টর কারেন্ট অ্যাম্পিয়ার রেঞ্জেও হতে পারে এ ঘটে পাওয়ার ট্রানজিস্টর গুলোর বেলায়।
অবশ্য ভোল্টেজের একটা ব্যাপার আছে , এখানে, Base-Emitter সংযোগ প্রকৃত পক্ষে একটা ডায়োডের মত কাজ করে। এখানে, Base-Emitter-এর ভোল্টেজের(voltage)পার্থক্য যখন +০.৭ভোল্ট(volt) হয় কেবল তখনই ট্রানজিস্টর(transistor) চালু হয় অর্থাৎ ট্রানজিস্টর(transistor) এর বেস-ইমিটার এবং কালেক্টর-ইমিটার বিদ্যুৎ(electricity flow) প্রবাহ শুরু হয়। এটাকে বলা হয় Threshold Voltage বা Turn on voltage বলা হয়। 

NPN ট্রানজিস্টরের ৩টি টার্মিনাল থাকে 

  1. বেস (Base),
  2. কালেক্টর (Collector) এবং
  3. ইমিটার (Emitter)



ট্রানজিস্টরের কার্যপ্রণালি
ট্রানজিস্টরের কার্যপ্রণালি

ট্রানজিস্টরের ব্যবহার

  1. বিবর্ধক বা সুইচ  হিসাবে কাজ করে।
  2. বিদ্যৃৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তন করতে ট্রানজিস্টার ব্যবহ্নত হয়।
  3. অ্যাম্প্লিফায়ার এ ব্যবহ্নত হয়। 
  4. ডাটা প্রক্রিয়া করণে ট্রানজিস্টার ব্যবহ্নত হয়।
  5. ডাটা সংরক্ষণ করতেও ট্রানজিস্টার ব্যবহার করা হয়। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url